এক পশলা বৃষ্টির পরই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে খেলার মাঠ ও রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারনে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অপরিষ্কার ড্রেন, রাস্তায় কনস্ট্রাকশনের নির্মাণ সামগ্রী রাখা ও নিচু জমির কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতি বছর এমন সমস্যা সৃষ্টি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নেই কার্যকারী কোন পদক্ষেপ।
সোমবার (৯ মে) বৃষ্টিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন মুল সড়ক থেকে ছাত্রদের একমাত্র হল শহীদ মসিয়ূর রহমান হল পর্যন্ত পুরো সড়ক প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠও। কিন্তু এতদিনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। হলের রাস্তায় পানি জমার বিষয়ে কনস্ট্রাকশনের কাজের দোহাই দিয়ে বিষয়টি বারবার এড়িয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর।
এবারও ফোন দিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মো. নাজমুস সাকিব একই কথা বলেন। তিনি জানান, কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য সবজায়গায় এমন হয়ই। আর টিএসসি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নতুন হলের নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য জন্য এমন হচ্ছে। এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদ ইমাম ভালো বলতে পারবেন।
নতুন হল নির্মাণের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মো. তৌহিদ ইমামকে ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশনের কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৬-৭ বছর ধরে চলমান টিএসসি নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। এখন নতুন ছাত্র হল নির্মাণ হচ্ছে। এসব কাজের দোহাই দিয়ে রাস্তায় পানি জমে থাকতে পারেনা। হলের প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী পানির মধ্য দিয়ে যাওয়া আশা করছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজের দোহাই দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এটা লজ্জার। আমরা আশা করি মাননীয় ভিসি স্যার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দুর করতে এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
এবিষয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি সমাধানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।